যে আমাকে সোহাগ করতে জানেনা,তাকে আমি শাষন করতে দিব না।
.
এই কথাটা কোন একজন উজ্জ্বল ব্যক্তির হবে হয়ত।কিন্তু কথাটা কিন্তু একেবারেই যুক্তিযুক্ত।আপনি একজনকে খুব বেশি ভালবাসেন।সে আপনাকে কখনো আদর করেনি বা আপনার ফিলিংস এর কোন মুল্য দেয়নি।যে আপনার ফিলিংসের কোন মুল্য দেয়না আপনার ভালবাসার কোন মুল্য দেয় না তাকে আপনি শাষন করতে দিবেন কেন? আচ্ছা নাহয় বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডের হিসেব বাদই দিলাম আপনার কোন কাছের বন্ধুই ধরুন।ধরে নিন,আপনি ভাল করলে আপনার বন্ধু বলেনা যে কাজটা আপনি ভাল করেছেন।কিন্তু আপনি যখন খারাপ কিছু করেন তখন সে আপসোসের ভঙ্গিতে আপনাকে নিয়ে কাটুক্তি করে।"ইস দোস্ত!! এইটা ভাল করিস নাই, এইটা এরকম হইলে ভাল হইত"।কিন্তু আপনি ভাল করলে সে আপনাকে বলেনা :-"ঝাক্কাস একটা কাজ করছিস দোস্ত"...আপনার ভালোর প্রশংসা সে করতে পারেনা কিন্তু খারাপ করলে সে কাটুক্তি করতে ভুলে যায় না।সবার সামনে অপমান করতেও ছাড়েনা।তবে আপনি কেন তাকে সেই সুযোগটা দিবেন? আস্তে করে তার কাছ থেকে দূরে সরে যান।এরকম যে করে তার আপনার উপর কোন অধিকার নেই।অধিকার যদি তার পেতে হয় তাহলে তাকে আপনার ভালোটার আগে প্রশংসা করতে শিখতে হবে।নয়ত সে যোগ্য না আপনাকে শাষন করবার।

.
ধরুন আপনার মা নেই।আপনার বাবা আরেকটা বিয়ে করেছেন।আপনার সৎ মা আপনাকে দুচোখে দেখতে পারেনা।আপনি ভার্সিটিতে ফার্স্ট হলে সে কিছু বলেনা।অথচ আপনি রাত কোন একটা কাজের কারনে বাসায় ফিরতে দেরি করলে সে বলে কেন এত দেরি করছিস?কই ছিলি এতক্ষন? তাকে এড়িয়ে চলাটাই ভাল।কেননা আপনার ভাল যার চোখে বাজেনা তাকে নিজের মধ্যে রেখে কি লাভ? হোক সে বয়ফ্রেন্ড,হোক সে গার্লফ্রেন্ড,বা হোক সে বড়ই কাছের কেউ।এটা দেখা ব্যাপার না যে মানুষটা কে।সোজা কথা আপনাকে বুঝতে হবে সে আপনাকে কতটুকু ভালবাসে,শ্রদ্ধা করে নাকি আপনার খারাপ দিকগুলোই তার চোখে বাজে? একবার দেখুন,দ্বিতীয়বারেও দেখুন,তৃতীয়বারেও দেখুন।চতুর্থবার আর তাকে জীবনে রাখতে চাইবেন না।কেননা আপনার সাফল্য তার হৃদয় বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনা।কিন্তু আপনার ব্যর্থতা তার হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত চলে যায়।মনে রাখবেন,যে আপনাকে ভালবাসে তার কাছে আপনার সাফল্যের গুরুত্বটা সবচেয়ে বেশি থাকবে ব্যর্থতার চেয়ে।আর যে আপনাকে ভালোইবাসেনা আপনার সাফল্যের দিকগুলো কানের পাশে এসে বললেও তার কানে ঢুকবে না কিন্তু ব্যর্থতার কথা মুখ থেকে বের হবার আগেই সে বুঝে নিবে।এমন কাউকে জীবনে রাখবেন কেন? সাফল্যে উৎসাহ দিলে সেই কাজটা পরবর্তীতে আরো অনেক বেশি ভালভাবে করা সম্ভব হয়।
.
আপনি ক্লাসে ভাল প্রেজেন্টেশন করেন।স্যার আপনার প্রেজেন্টেশনে মুগ্ধ হয়ে বলবে :-"ছেলেটা/মেয়েটা তো অসাধারন ট্যালেন্টেড,ব্লা,ব্লা...."।পরের দিন যখন আপনাকে আবারো প্রেজেন্টেশনের জন্য ডাকবে আপনার আগের দিনের কথা অবশ্যই মনে হবে।আপনি তখন ভাববেন স্যার তো আমাকে গতকাল ভাল বলছিলেন,আমাকে আজকে আরো বেশি ভাল করতে হবে।আপনি দেখবেন আপনি গতকালের চাইতে আরো বেশি ভাল করতে পারবেন।এটাই বাস্তবতা।সাফল্যে উৎসাহ দিতে যে পারে না সে অবশ্যই আর যাই চাক আপনার ভালো চায়না কখনো।তাই তাকে জীবনে না রাখাটাই ভাল।যদি এমনটা না পারেন তাহলে তাকে এড়িয়ে চলতে চেস্টা করুন।দেখবেন তার উৎসাহ ছাড়াই আপনি অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবেন।নিজের উপর ভরশা রাখুন।আপনি যেটা করছেন সেটার উপর ভরশা রাখুন।বিশ্বাস রাখুন যে আপনি যেটা করছেন সেটাই ঠিক।নিজেকে আগে বিশ্বাস করতে শিখুন।অন্যের কথায় কান না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান।সফলতার কথা ভাবছেন? সেটা তো আপনার দ্বারপ্রান্তেই আছে।আপনার দরজার কাছে কড়া নাড়ছে।আপনি শুধু সময়মত তাকে ছুঁতে পারলেই হলো।নিজের উপর যার বিশ্বাস থাকে ব্যর্থতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনা।
.